অনলাইন ডেস্ক
দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৬ লাখ ২৭ হাজার ৭১৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জনের। বর্তমানে দেশের ৬২টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
এর মধ্যে ঢাকায় রয়েছে ৩২টি এবং ঢাকার বাইরে রয়েছে ৩০টি। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৩টিতেই করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র নেই। এই ৬২ টি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে মাত্র ২১ জেলায়।
যেসব জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র নেই সেইসব জেলা থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য কাছের জেলায়, কিছু ক্ষেত্রে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। এতে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে চাপ বাড়ছে, তৈরি হচ্ছে নমুনাজট। অন্যদিকে পরীক্ষার ফল জানতে লাগছে বেশি সময়।
এদিকে গত দেড় মাসে ঢাকায় নতুন যুক্ত হওয়া ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টিই বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বেসরকারিভাবে পরীক্ষা করাতে সরকার নির্ধারিত খরচ সাড়ে তিন হাজার টাকা। এতে অনেক পরিবারই এই ব্যয় বহন করতে পারছে না। ফলে সরকারি কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার চাপ বাড়ছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার মধ্যে ৫ জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৩২টি এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে দুটি করে কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ ও ফরিদপুরে একটি করে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে ৫ জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। চট্টগ্রাম বাদে নোয়াখালী, কুমিল্লা ও কক্সবাজারে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে শুধু খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।
সিলেট বিভাগের দুটি পরীক্ষাকেন্দ্রই সিলেট জেলায় অবস্থিত।
রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে শুধু রংপুর ও দিনাজপুরে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের তিনটি জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। রাজশাহী ও বগুড়ায় দুটি করে এবং সিরাজগঞ্জে একটি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।
এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে শুধু ময়মনসিংহ ও জামালপুরে একটি করে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। গত ২৭ মে থেকে জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
বরিশালের ছয় জেলার জন্য একমাত্র পরীক্ষাকেন্দ্র বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ।